শুধু আবাসনই নয়, রাজশাহীতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন (রেডা)। করোনাকালীন সময়ে বেকার ও আয় কমে যাওয়ায় মানুষদের আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর মূল লক্ষ্য রেডার। রাসিকের সহযোগিতা ও রেডার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ‘আমরা হবো উদ্যোক্তা, নতুন দিগন্তের নতুন সম্ভাবনা’ শ্লোগান নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও ব্যবসায়ীদের স্বাবলম্বী করার উদ্দ্যেশ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্ভাবনা থাকার পরও যারা কিছু করতে পারছেন না সেসব ব্যক্তিদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে একজন সম্ভবনাময় উদ্যোক্তা। এ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে নগরীর অলকার মোড়ের চেম্বার ভবনে রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভেলপার্স এসোসিয়েশনের (রেডা) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখের রেডার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজি।
সংবাদ সম্মেলনে রেডার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজি বলেন, করোনার কারণে রাজশাহীতে অনেক ব্যবসায়ী মুলধন হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। অনেক উদ্যোক্তা পুঁজি না থাকায় ব্যবসা দাঁড় করাতে পারছেন না। যদিও রাজশাহীতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা কম। সব দিক বিবেচনা করে ও রেডার দায়বদ্ধার জায়গা থেকে নতুন নতুন উদ্যোক্ত সৃষ্টি করে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থ্যানের সৃষ্টি করা রেডার মূল লক্ষ্য। নগরীকে সাজাতে রেডার সদস্যরা যেমন কাজ করছেন তেমনি বেকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেও রেডা কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, একজন উদ্যোক্তার পুঁজি না থাকার কারণে দেখা যায় ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন না। আবার অনেকেই আছে যাদের মেধা থাকার পরও উন্নত প্রশিক্ষণ না থাকায় ব্যবসা করার আগ্রহ দেখায় না। বিষয়গুলো বিবেচনা করে রেডা নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষে পুঁজি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে মেধা সম্পুর্ণ ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১শ’ জনকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হবে। এ ক্ষেত্রে যারা ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্য অথচ ব্যাংক লোন পান না তাদের ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। আর যাদের ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা নেই তাদের রেডার পক্ষে পুঁজির ব্যবস্থা করে ব্যবসায় দাঁড় করে দেয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে বেকার গণগোষ্টিকে কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী রাজশাহী গড়ার কাজ রেডার পক্ষে অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, একজন উদ্যোক্ত রেডার অয়েব সাইট (www.redabd.com) থেকে ফর্ম তুলে তা পুরণ করে আবেদন করতে পারবেন। পরে সেই ফর্ম যাচাই বাছাই শেষে আমরা একশ জনকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবো। একই সাথে ব্যবসার সার্বিক বিষয়গুলো রেডার পক্ষে দেখা শোনা করা হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্রহীরা অয়েব সাইট থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে আবেদন করতে পারবেন। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন ব্যক্তি এক বছরের মধ্যে স্বাবলম্বী হতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
রেডার সভাপতি তৌফিকুর রহমান বলেন, আমরা চাই রাজশাহীতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হোক। আর রাজশাহীর পণ্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুনাম অর্জন করুক। কারণ রাজশাহী একটি সম্ভাবনাময় শহর। এখান থেকে অনেক ভাল কিছু করা সম্বব। কিন্তু এখানে দিক নিদের্শনা ও উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে ব্যবসায়ী মনোভাব থাকার পরও অনেকেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আর যারা ব্যবসায়ী মনোভাব থাকার পরও ঘুরে দাড়াতে পারছে না রেডা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। উদ্যোক্ত একজন চা বিক্রেতা হতে পারে, একজন হস্তশিল্পী হতে পারে অথবা বেকারও হতে পারে। আমরা চাই রাজশাহীতে বেকার সমস্যা কমে আসুক। এই সাথে যাদের ব্যবসা করার সুযোগ আছে কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় করতে পারছে না তারা নতুন উদ্যামে ব্যবসা শুরু করুক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রেডার সহসভাপতি এ্যাড. এরশাদ আলী ঈশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবা উল বারি সওদাগর, কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আক্তারুল হুদা রুমেল, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, আইনশৃংখলা সম্পাদক আ.জ.ম ওয়ালিউল্লাহ বাপন প্রমুখ।